ঈমান শব্দটি (আলিফ, মিম, নুন) আমন ধাতু থেকে নির্গত। আমনের মূল অর্থ হচ্ছে আত্মার প্রশান্তি ও নির্ভীকতা লাভ। ‘আমন ধাতুর ক্রিয়া রূপ হচ্ছে ঈমান’। এর তাৎপর্য হচ্ছে মনের ভেতর কোনো কথা প্রত্যয় ও সততার সাথে এমনভাবে দৃঢ়মূল করে নেয়া যেন তার প্রতিকূল কোনো জিনিসের পথ খুঁজে পাওয়া ও প্রবেশ করার কোনো প্রকার আশঙ্কা না থাকে।
ঈমানের পারিভাষিক অর্থ : মহান রাব্বুল আলামিনের একক সত্তা, তাঁর প্রেরিত রাসূল, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, পরকাল, তাকদির ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আন্তরিক বিশ্বাস স্থাপন করাকে ঈমান বলা হয়।
ঈমানের মর্মার্থ : ঈমানের মর্মার্থ হলো জ্ঞান ও প্রত্যয়, অর্থাৎ জানা ও মেনে নেয়া। মানুষ ততণ পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য করতে পারে না, যতণ না সে কতগুলো বিশেষ জ্ঞান লাভ করে এবং সে জ্ঞান প্রত্যয়ের সীমানায় পৌঁছে। সবার আগে মানুষের প্রয়োজন আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে পূর্ণ প্রত্যয় লাভ। কেননা আল্লাহ আছেন এ প্রত্যয় যদি তার না থাকল, তাহলে কী করে সে তাঁর প্রতি আনুগত্য পোষণ করবে? যতণ পর্যন্ত মানুষ আল্লাহর গুণরাজি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অধিকারী না হবে ততণ চিন্তায়, আচরণে ও কর্মে ইসলামের সহজ সরল পথে চলার জন্য অপরিহার্য গুণরাজি তার ভেতরে সৃষ্টি হতে পারে না। সে জ্ঞানও কেবল জানার সীমার মধ্যে গণ্ডিবদ্ধ হয়ে থাকলে চলবে না, বরং তাকে প্রত্যয়ের সাথে মনের মধ্যে দৃঢ় বদ্ধমূল করে নিতে হবে, যেন মানুষের মন তার বিরোধী চিন্তা থেকে এবং তার জীবন তার জ্ঞানের প্রতিকুল কর্ম থেকে নিরাপদ থাকতে পারে না।
এরপর মানুষকে আরো জানতে হবে, আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী জীবন যাপন করার সঠিক পন্থা কী? কোন কোন কাজ আল্লাহ পছন্দ করেন যা সে করবে এবং কোন কোন জিনিস আল্লাহ অপছন্দ করেন যা থেকে সে দূরে থাকবে। এ উদ্দেশ্যে আল্লাহর আইন ও বিধানের সাথে পরিপূর্ণ পরিচয় লাভ করা মানুষের জন্য অপরিহার্য। আল্লাহর আইন ও বিধান অনুসরণ করে যে আল্লাহর সন্তোষ লাভ করা যেতে পারে এ সম্পর্কে পূর্ণ প্রত্যয় পোষণ করতে হবে।
ঈমান ও ইসলামের মধ্যে সম্পর্ক : ঈমানের অর্থ হচ্ছে জানা এবং মেনে নেয়া। যে ব্যক্তি আল্লাহর একত্ব, তাঁর সত্যিকার গুণরাজি, তাঁর কানুন এবং তাঁর পুরস্কার সম্পর্কে প্রত্যয় পোষণ করে তাকে বলা হয় মুমিন এবং ঈমানের ফল হচ্ছে এই যে, তা মানুষকে মুসলিম অর্থাৎ আল্লাহর অনুগত ও আজ্ঞাবহ করে তোলে। ঈমান ছাড়া কোনো মানুষ মুসলিম হতে পারে না। বীজের সাথে গাছের যে সম্পর্ক, ইসলাম ও ঈমানের সম্পর্কও ঠিক অনুরূপ। বীজ ছাড়া গাছের জন্মই হতে পারে না। তেমনি ঈমানদার না হলে মুসলিম হওয়া যায় না। অবশ্য এমন হতে পারে যে, বীজ জমিতে বপন করা হলো, কিন্তু জমি খারাপ হওয়ায় গাছ দুর্বল হয়ে বা বিকৃত হয়ে জন্মাল। তেমনি কোনো ব্যক্তির যদি গোড়া থেকে ঈমানই না থাকল, তার পে মুসলিম হওয়া কী করে সম্ভব হবে? কাজেই বোঝা গেল ঈমানের বাস্তব রূপই হলো ইসলাম।
হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা:-এর বর্ণিত একখানা হাদিসে ঈমান ও ইসলামের স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। হজরত ওমর রা: বলেন, একদিন আমরা কয়েকজন সাহাবা রাসূল সা:-এর কাছে উপস্থিত থাকা অবস্থায় হঠাৎ আমাদের সামনে একজন লোক উপস্থিত হলেন। সে ব্যক্তির পরিধেয় বস্ত্র ছিল ধবধবে সাদা এবং মাথার চুল ছিল কুচকুচে কালো। সফরকারী ব্যক্তি হিসেবে কোনো চিহ্নও তার মধ্যে দেখা যাচ্ছিল না আবার আমরা কেউই তাকে চিনতে পারিনি। আগমনকারী ব্যক্তি রাসূল সা:-এর কাছে এসেই নিজের দুই হাঁটু তাঁর দুই হাঁটুর সাথে ঠেকিয়ে বসে নিজের দুই হাত তার দুই ঊরুর ওপর রেখে বললেন হে মুহাম্মদ সা:! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে শিা দিন। তখন রাসূল সা: বললেন, ইসলাম হচ্ছে তুমি সাী দেবে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সা: আল্লাহর রাসূল, সালাত আদায় করবে, জাকাত দেবে, রমজান মাসে সিয়াম পালন করবে এবং হজ করার সামর্থ্য থাকলে হজ আদায় করবে।
এটা শুনে আগমনকারী ব্যক্তি বললেন, আপনি সঠিক বলেছেন। হজরত উমর রা: বলেন, আগমনকারী ব্যক্তির এ কথাগুলোতে আমরা সবাই বিস্মিত হলাম। আগমনকারী রাসূল সা:-এর কাছে প্রশ্ন করার পর আবার তাঁর (রাসূল সা:) বক্তব্যের সমর্থন করলেন।আগমনকারী পুনরায় বললেন, আমাকে ঈমান সম্পর্কে কিছু বলুন! রাসূল সা: বললেন, ঈমান হলো আল্লাহর, তাঁর ফেরেশতাকুল, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ, আখেরাত ও তাকদিরের ভালোমন্দের প্রতি তোমার ঈমান আনয়ন করা। তখন আগমনকারী বললেন, আপনি সত্য কথাই বলেছেন। (বুখারি ও মুসলিম)।
ঈমান বিল গায়েব বা অদৃশ্য বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস : ঈমান বিল গায়েব বলতে বোঝায়, যা কিছু মানুষের জানা নেই তা কোনো জ্ঞানী লোকের কাছ থেকে জেনে নিয়ে মানুষ তার ওপর প্রত্যয় পোষণ করবে। যেমন কোনো বিশেষ জিনিস সম্পর্কে যদি কারো কোনো জ্ঞান না থাকে, তখন সে কোনো জ্ঞানী লোকের সন্ধান করে এবং তার নির্দেশ মেনে কাজ করে।
আখেরাতের জীবনের সঠিক অবস্থা সবারই অজ্ঞাত। এর সব কিছুর জ্ঞান মানুষকে এমন এক লোকের কাছ থেকে হাসিল করতে হবে যার বিশ্বস্ততা, সত্যনিষ্ঠা, সরলতা, আল্লাহভীতি, পাক-পবিত্র জীবন, জ্ঞানগর্ভ আলোচনা তার মনে বিশ্বাস জন্মাবে যে তিনি যা বলেন, তা নির্ভুল এবং সব কথাই বিশ্বাসযোগ্য। একেই বলে ঈমান বিল গায়েব। আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য ও তার ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করার জন্য ঈমান বিল গায়েব অপরিহার্য। পয়গম্বর ছাড়া অপর কোনো মাধ্যম দ্বারা সঠিক জ্ঞান লাভ করা মানুষের পে অসম্ভব। এ সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন সূরা আল বাকারার ২০ ও তৃতীয় আয়াতে বলেছেন ‘কুরআন হেদায়েত দান করে সেসব লোককে যারা মুত্তাকি, যারা গায়েবে বিশ্বাস করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।’ সূরা বাকারার ২৮৫ নম্বর আয়াতে ঈমানদারদের ল্য করে বলেছেন ‘এরা সবাই আল্লাহ, ফেরেশতা, কিতাব ও রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস পোষণ করে।’
যেসব বিষয়ের ওপর ঈমান আনা অপরিহার্য : ঈমান হলো মূলত চাুষভাবে যা বাস্তব অভিজ্ঞতা দ্বারা জানা যায় না এমন কিছু মৌলিক বিষয় মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা। আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাকুল, আসমানি কিতাবসমূহ, রাসূলগণ, শেষ বিচারের দিন, তাকদির ও মৃত্যুর পর পুনরুত্থান এ সাতটি বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য।
১. আল্লাহ : আল্লাহর পরিচয় ও তাঁর গুণরাজির বর্ণনা প্রদান করা কোনো মানুষের পে সম্ভব নয়। আল কুরআন ও হাদিসে আল্লাহর যে গুণ-বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে আল্লাহকে সেভাবেই বিশ্বাস করতে হবে। আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, বিধানদাতা এবং সার্বভৌম মতার অধিকারী। আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে সূরা ইখলাসে বলা হয়েছে বলো হে (মুহাম্মদ সা:) আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ কারো মুখাপেী নন। তিনি কারো জন্মদাতাও নন এবং সন্তানও নন। তাঁর সমতুল্যও কেউ নেই।
২. ফেরেশতা : আল্লাহর প্রতি ঈমানের পর নবী করিম সা: আমাদেরকে ফেরেশতাদের অস্তিত্বের প্রতি ঈমান পোষণের নির্দেশ দিয়েছেন। তারা সর্বপ্রকার গুনাহ থেকে মুক্ত। তাদের প্রকৃতি এমন যে তারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করতে পারে না। তারা সর্বক্ষণ আল্লাহর এবাদত ও বন্দেগিতে মশগুল থাকে। এদের মধ্যে প্রধান প্রধান হলেন হজরত জিব্রাইল আ:, হজরত মিকাইল আ:, হজরত আজরাইল আ: ও হজরত ইস্রাফিল আ: যাদেরকে যথাক্রমে নবী-রাসূলদের নিকট ওহি পৌঁছানো, বৃষ্টি বর্ষণ ও জীবের প্রাণ হরণ এবং কিয়ামত সংঘটনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
৩. আল্লাহর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান : হজরত মুহাম্মদ সা:-এর মাধ্যমে আমাদেরকে তৃতীয় যে জিনিসের প্রতি ঈমান পোষণের শিা দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাবসমূহ, যা তিনি নাজিল করেছেন তাঁর নবীদের ওপর। আল্লাহ তায়ালা যেমন হজরত মুহাম্মদ সা:-এর ওপর কুরআন নাজিল করেছেন তেমনি পূববর্তী নবীদের ওপরও কিতাব নাজিল করেছিলেন। যেমন হজরত ইব্রাহিম আ:-এর কাছে সহুফে ইব্রাহিম, হজরত মুসা আ:-এর প্রতি তাওরাত, হজরত দাউদ আ:-এর কাছে জবুর ও হজরত ঈসা আ:-এর কাছে ইঞ্জিল কিতাব নাজিল করেছেন। এসব কিতাব আল্লাহর প থেকে অবতীর্ণ এ বিষয়ে ঈমান আনতে হবে।
৪. আল্লাহর রাসূলদের প্রতি ঈমান : সূরা আরাফের ১৫৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুহাম্মদ সা: ঘোষণা করে দাও, হে মানব জাতি আমি তোমাদের সবার প্রতি আল্লাহর রাসূল।’
হজরত মুহাম্মদ সা: হচ্ছেন আল্লাহর আখেরি পয়গম্বর, খাতামুন নাবিয়্যিন। তাঁর পরে কিয়ামত পর্যন্ত কোনো কওমের মধ্যে কোনো নবী আসবেন না। অতঃপর এমন কোনো ব্যক্তির আবির্ভাব কখনো হবে না, মুসলমান হওয়ার জন্য যার ওপর ঈমান আনা শর্ত। এ কারণে তামাম দুনিয়ার মানুষের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য হচ্ছে একমাত্র হজরত মুহাম্মদ সা:-এর আনুগত্য করা।
৫. আখেরাতের ওপর ঈমান : পঞ্চম যে জিনিসের ওপর হজরত মুহাম্মদ সা: আমাদেরকে ঈমান পোষণের নির্দেশ দিয়েছেন তা হচ্ছে আখেরাত। আখেরাত-সংক্রান্ত যে জিনিসের ওপর ঈমান পোষণ করা জরুরি তা হচ্ছে (ক) একদিন আল্লাহ সমগ্র বিশ্বজগৎ ও তার ভেতরকার সৃষ্টিকে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন। এ দিনটির নাম কিয়ামত। (খ) আবার তাদের সবাইকে দেয়া হবে নতুন জীবন এবং তারা সবাই এসে হাজির হবে আল্লাহর সামনে। একে বলা হয় হাশর। (গ) সব মানুষ তাদের পার্থিব জীবনে যা কিছু করেছে তার আমলনামা আল্লাহর আদালতে পেশ করা হবে। (ঘ) আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক ব্যক্তির ভালো-মন্দ কাজের পরিমাপ করবেন। আল্লাহর মানদণ্ডে যার সৎকর্মের পরিমাপ অসৎকর্ম অপো বেশি হবে তিনি তাকে মাফ করবেন এবং যার অসৎকর্মের পাল্লা ভারী থাকবে তিনি তার উপযুক্ত শাস্তি বিধান করবেন।
৬. তাকদিরে বিশ্বাস স্থাপন : মানুষের তাকদির বা ভাগ্যে কী আছে তা জানা নেই। তাকদিরের ভালো-মন্দ সব কিছু আল্লাহর প থেকেই হয় এবং আল্লাহই এ বিষয় ভালো জানেন এ বিশ্বাসের নামই তাকদিরের ওপর ঈমান।
৭. মৃত্যুর পরে পুনরুত্থানের প্রতি ঈমান : এটি অবশ্য আখেরাত বা পরকালের বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত। আমরা দেখতে পাই, এক ব্যক্তি ভালো কাজ করে অথচ দুনিয়ায় তার কোনো ফল সে পায় না, আবার এক ব্যক্তি খারাপ কাজ করে যায় অথচ তার কোনো ভোগান্তি সে ভোগ করে না। শুধু তাই নয়, আমরা এমন হাজার হাজার দৃষ্টান্ত পাই, ব্যক্তিবিশেষে ভালো কাজ করে যাচ্ছে অথচ উল্টো তার তি হচ্ছে। পান্তরে অপর ব্যক্তি খারাপ কাজ করেও বেশ মজা লুটছে। এ ধরনের সব ঘটনা ল্য করে যুক্তি দাবি করে কোনো না কোনো জায়গায় সৎকর্মশীল ব্যক্তি সৎ কাজের ও দুষ্কৃতিপরায়ণ ব্যক্তির দুষ্কৃতির প্রতিফল পাওয়া প্রয়োজন; আর এ জন্যই আল্লাহ মানুষকে মৃত্যুর পরে পুনরুত্থান করবেন।
ঈমান ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য : ঈমান হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। এই বাক্য বিশ্বাস স্থাপন করা, আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য করা এবং কুফরের অর্থ আল্লাহকে অস্বীকার করা, অমান্য করা ও আল্লাহ তায়ালার অবাধ্য হওয়া। মুসলমানকে কাফের থেকে পৃথক করা যায় মাত্র দু’টি জিনিসের ভিত্তিতে প্রথমত, ঈলম বা জ্ঞান এবং দ্বিতীয়ত, আমল বা কাজ। অর্থাৎ প্রত্যেক মুসলমানকে প্রথমেই জানতে হবে তার প্রকৃত মালিক কে? কী তার আদেশ ও নিষেধ? কিসে তিনি সন্তুষ্ট হন আর কিসে তিনি অসন্তুষ্ট হন। হজরত ইব্রাহিম আ: একজন মূর্তিপূজারীর ঘরে জন্ম লাভ করেছিলেন। কিন্তু‘ তিনি আল্লাহ তায়ালাকে চিনতে পেরে তার আদেশ পালন করলেন। এ জন্য আল্লাহ তাঁকে জগতের নেতা বা ইমাম করে দিয়েছিলেন। পান্তরে নুহ আ:-এর পুত্র কেনান নবীর গৃহে জন্মগ্রহণ করেও মুমিন হিসেবে পরিগণিত হয়নি। আল্লাহর আজাবে ধবংস হয়েছে। তাই বিশ্বাস ও কর্মই ঈমানের মানদণ্ড।
Time, people, culture, society, and the environment we are surrounded by, can produce the formation of many perspectives regarding an issue that we see in today's society. One of many controversial topics is Islam and the Hijab. Many questions and generalizations are often formed in the minds of many non-Muslims in regards to the concepts behind the Hijab through the influence of the media.
Throughout the years of conflict between the "West" and "Islam", the media has strongly altered the minds of non-Muslims by negative exploitation of Islam, and Muslims, in particular on Muslim women. Misconceptions such as, "Are you bald underneath" "Do you go to sleep with that on?" to the association of "terrorism" that contrasts to what Muslim women believe the Hijab represents.
A common misconception is "the Islamic Hijab is something cultural, not religious". The use of the word "cultural" is faulty when describing the Hijab as it implies that it is a result of customs and practices that are something separate from Islam. The cultural dress is referred to the ancient Pre-Islamic Era (Jahiliyah). It is the veil from the Pre-Islamic Era that is considered as "traditional" which stops women from contributing in society. On the contrary, the Islamic Hijab is not considered as an informal tradition, nor does it lower her self-respect. The Hijab is aimed at presenting women with poise and equality in society. An example of Pre-Islamic era in our modern world is the Taliban in Afghanistan. The Taliban are a party who regard such activities un-Islamic for women, who are prohibited from exercising their primary rights. The Taliban have banned women from employment outside the home, apart from the health sector, and have terminated education for girls.
Prophet Mohammad (peace & blessings be upon him) said, "Seeking knowledge is incumbent upon every Muslim". Even Henry VIII forbid women to study the Bible when the first English translations began to appear. It's an irony although the Taliban claim their guiding philosophy on women are in place to ensure the physical protection and self-respect of women, where as, many Afghan women have been killed, beaten and publicly hung. For many Afghan women fear of being severely punished by the Taliban is their main security concern.
Another misconception is "Muslim women have no right in Islam". Islam gave women rights over 1400 years ago, which is still ignored by many Muslims and non-Muslims today. Firstly, Islam has given women the basic right to freedom of speech. In the early days of Islam, the leaders of the Islamic state regarding legal issues consulted women. Rights that were appointed to Muslim women since the beginning of time are only just surfacing for non-Muslims. In Islam, a woman is free to be whom she is inside, and protected from being portrayed as a sex symbol and lusted after. Islam praises the status of a woman by commanding that she "enjoys equal rights to those of man in everything, she stands on an equal footing with man" (Qur'an, Nadvi: 11) and both share mutual rights and obligations in all aspects of life.
Many women are treated in ways far from Islamic ideals, yet in the name of Islam. The Taliban is an example of a cultural and political name that has been branded with Islam. There is no freedom for women if they are imprisoned in their home in the name of the Hijab and Islam. Moreover, the veil of Islam is not associated with the veil of oppression.
Women that are regaining their identity and role in society, are now wearing the Hijab and are embracing its concept of liberation. They are taking their lawful places that Islam had awarded them fourteen hundred years ago. In fact, the western women had no rights nor did they have rights over their husband. Not only were woman the property of their husband but so were their possessions. In 1919 women in England fought for their rights to be elected to parliament. Because of their demands, they were imprisoned by the government and suffered greatly. It was not until the late nineteenth and early twentieth century when women were given these rights.
A quote from the Qur'an in Surah 2: 26 states:
"And for women has rights over men, similar to those of men over women."
The background history between Islam and the West will shed some light as to why Muslims are portrayed so negatively in the media. Some strong contributing factors are the medieval western conflict, the crusades, the oil crisis of the 1970's, the Lebanese civil war, the Iranian revolution, the Gulf war, and the explosive Israeli-Palestinian conflict, the September 11 bombings, the Bali Massacre and the London bombings. All these events have caused Islam to be consistently associated with violence and unresolved conflict. Furthermore, the view of Muslims as being violent typically explains why Muslims are seen to establish a threat to the West. One of the most effective ways the media attempts to somehow prevent Islam being seen in a positive frame is to develop propaganda against Muslims and Islam.
The media is able to use the Hijab as a means of exploiting Muslim women, and degrading them. The media assumes, in some cases, that the actions of one Muslim are representations of the general Muslim population. This is generalisation. This sets a example for members of society to abuse and degrade them.
An image of a Muslim woman wearing the chador was labelled as "like death out for a walk" in the Australian Magazine, 25-26 Jan. 1995 issue. The media implied to locate the position of women in Islamic society as dominated. The image also portrayed the difference between Muslim and Western Women in today's society.
In current affair programs, people watching are bombarded with images of Muslims as savage terrorists, killing innocent people with no remorse. What results from this is the viewers of these programs, recognise and accept only the labels, and therefore with Islam immediately associating it with negative images.
I asked a resident from Parramatta, who wished to be kept anonymous if "the September 11th bombings altered their mind about Islam and Muslim women?" He said "I never knew Islam and the Qur'an preached terrorism. It has made me aware of Islam and the teachings. It increased my awareness of the complexities of Islam and politics in the Middle East including the veiling of Muslim women". This answer shows how influential the media is towards its viewers.
Throughout the western society, the practice of Muslim women wearing the Hijab has resulted in extreme points of view towards their so-called "oppression" and lack of freedom. Despite the obvious portrayal of Muslim women and myths that surround it such as; "Muslim women are oppressed", there continues to be an abundance of Western women reverting to Islam. What Islam uses to protect women is the Hijab. This is ironic because the Western media often portray the Muslim veil as a suppressive force in a woman's life.
Every Muslim woman is required to wear a scarf or some sort of head covering and loose-fitting, modest attire. This is not a means of controlling a woman's sexuality or suppressing her but rather, a means for protection. It implies by dressing this way she will not be seen as a mere sex symbol but will be appreciated for her intellect. Furthermore, it will not subject her to harassment. It is interesting to state the head covering for women is not an Islamic innovation but was also practiced by Judeo-Christian women centuries earlier, and yet is laughed at by the West today.
Naima Omar, a student of University of Western Sydney says "It is funny to say the same veil worn by catholic nuns for God is despised and presented as a symbol of subjection and domination when it is worn by Muslim women for the intention to protect themselves and devoting themself to God".
The term Islam means "submission to the will of Allah" and "peace". Muslims believe Islam is not a religion but a gift that has been awarded to them. They believe Islam is the way of life and that is harmonious however the media portrays the opposite.
Maria Moskovakis, 18, a Greek Orthodox says "yes of course Muslims are presented negatively in the news. An action by one Muslim is presented with so much bias. If one Muslim commits a crime, it is not the person but the religion presented that goes to trial. What we hear and see is all controlled.
As El-Gharib (1996-97) noted, television, books, newspapers, and magazines are used to present Islam as being a backward and barbaric religion. It has been seen as oppressive and unjust; and more than this, it is seen as being most oppressive to women. These various forms of media misrepresent Islam in different ways, however largely achieve the same negative result - the creation of a growing barrier of misunderstanding and hostility between Islam and it's followers, and the West.
Muslims have an obligation to fulfil which is to educate themselves, their children to gain knowledge which is ordained upon them regardless of their race, gender and marital status etc.
A Hasan Hadith narrated by Ibn Majah in the Qur'an states:
"Seeking knowledge is a duty on every Muslim" and therefore gaining knowledge is regarded as an act of worship. Stopping any Muslim from gaining an education regardless of age and sex is not Islamic.
Dr Homer of Sweden was asked by the United Nations in 1975 to study the status of Women in the Arab countries and said: "It is the Swedish woman who should demand her freedom, as the women in the Arab countries has already reached the peak of her freedom under Islam." From "Status Of Women In Islam" page 23.